: উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় নিজের বোনের প্রেমিককে খুন করার পর এবার বোনকেও নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রাখিবন্ধনের পর পরই ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসির গারোথা এলাকায়। সেখানকার চন্দ্রপুরা গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী কুমারী সহোদর ওরফে পুট্টির সঙ্গে প্রতিবেশী লাচুর গ্রামের ১৯ বছর বয়সী যুবক বিশালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না পুট্টির দাদা অরবিন্দ।
জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে পুট্টি এবং বিশাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তারা ফিরে আসে এবং তাদের মধ্যে একটি আপস-মীমাংসাও হয়। কিন্তু অরবিন্দ এই মীমাংসা মেনে নিতে পারেনি। সে পুনে থেকে ফিরে আসার পর তার বন্ধু প্রকাশ প্রজাপতির সঙ্গে মিলে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৭ আগস্ট কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিশালকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। এরপর তার দেহ গুধা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। বিশালের বাবা হলকেরামের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এই তদন্ত চলাকালীনই অরবিন্দ তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
পুলিশের দাবি, রবিবার, রাখিবন্ধনের পর অরবিন্দ ডাক্তার দেখানোর নাম করে পুট্টিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর প্রকাশকে সঙ্গে নিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর পুট্টির মাথা মুড়িয়ে চন্দ্রপুরা গ্রামের একটি নির্জন মন্দিরের কাছে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুট্টি এবং বিশালকে খুনের অভিযোগে অরবিন্দ এবং প্রকাশ প্রজাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড আবারও সমাজের অন্ধকার দিকটিকে সামনে এনেছে।