ভোটার কার্ড হাতে থাকা সত্ত্বেও তা কেন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ (ERO)-দের দফতরে পড়ে থাকা হাজার হাজার ভোটার কার্ডের হিসাব চেয়ে জেলাশাসকদের (District Election Officer) কাছে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণার একটি ERO দফতরেই প্রায় ৩০০-র বেশি ভোটার কার্ড পড়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠানোর পরেও, কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও এই কার্ডগুলো কেউ নিতে আসেনি। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কার্ডগুলো পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। সম্প্রতি ভুয়ো ভোটারের তদন্তের সময়ও এমন একাধিক ঘটনা কমিশনের নজরে আসে, যা নিয়ে কমিশন চিন্তিত। ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন মানুষ ভোটার কার্ড নিতে চাইছেন না, তা খতিয়ে দেখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল কমিশন
এদিকে, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণে কারচুপির অভিযোগে রাজ্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দু’জন ERO এবং দু’জন AERO (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) রয়েছেন। সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন বারুইপুর পূর্বের ERO দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী ও তথাগত মণ্ডল, এবং ময়নার AERO বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কমিশনের এই কড়া পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে, তারা ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করতে রাজি নয়।