আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই বিশ্বপ্রসিদ্ধ রথযাত্রার উন্মাদনায় ভাসবে পুরী। যখন preparations তুঙ্গে, ঠিক তখনই এক ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে এই পবিত্র নগরী। জগন্নাথ মন্দিরের এক প্রবীণ সেবায়েতকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম জগন্নাথ দিক্ষীত (৮০), যিনি মহাসুয়ার সাহির বাসিন্দা। গতকাল, বুধবার, মন্দির থেকে ফেরার পর নিজের বাড়ি থেকেই তার নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কারণ?
ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত নারায়ণ পাত্তাযোশী (৬০)-কে আটক করেছে পুলিশ। পুরীর পুলিশ সুপার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “কেন এই খুন, সেই কারণ জানার চেষ্টা করছি আমরা। আমাদের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই অপরাধ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।”
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, জগন্নাথের বাড়িতে গিয়েছিলেন নারায়ণ। সেখানেই তাদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। এর পরেই নারায়ণের দেওয়া ধাক্কায় জগন্নাথের মাথা দেওয়ালে সজোরে আঘাত খায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই প্রাথমিক অনুমান সত্ত্বেও, হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং ঘটনাটির বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
তদন্তের গতিবিধি ও সিসিটিভি’র নজর
জগন্নাথ দিক্ষীতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, জগন্নাথের বাড়ির আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের লক্ষ্য হলো, এই ঘটনার প্রতিটি স্তরকে উন্মোচন করা এবং নিশ্চিত করা যাতে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
রথযাত্রার এই পবিত্র আবহে এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা পুরীর ভক্ত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। সেবায়েতের ওপর এমন হামলা এবং তার মর্মান্তিক পরিণতি স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাঝে এই নৃশংসতা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। পুলিশ দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে রথযাত্রার আনন্দ ফিকে না হয়ে যায় এই শোকাবহ ঘটনার প্রভাবে।