উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথম ধাপে শহরাঞ্চলের পুর-সংস্থাগুলোর আওতায় কাজ করা সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সব পুরসভা, নগর নিগম ও পৌরীয় সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে তাদের এলাকায় কর্মরত রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি শ্রমিক, দিনমজুর, ভিখারি, বর্জ্য সংগ্রহকারী বা অস্থায়ী কর্মীদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রস্তুত হওয়া এই তালিকা সরাসরি বিভাগীয় কমিশনার এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলের (IG) কাছে জমা দিতে হবে।
ডিটেনশন সেন্টার তৈরির নির্দেশ:
এর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি বিভাগে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত কমিশনারি সদর শহরে এমন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, যেখানে পরিচয় যাচাই না হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাখা যাবে।
প্রশাসনের দাবি, গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে এবং তাদের একাংশের বিরুদ্ধে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি, মানব পাচার ও নাশকতা সংক্রান্ত সামগ্রী পাচারের মতো বেআইনি কার্যকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
রাজনৈতিক ও মানবিক বিতর্ক:
যদিও সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এটি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড’ পদক্ষেপ। তবে বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, “এটি কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, বরং ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া নীতি।” প্রশাসন স্পষ্ট করেছে—মানবিকতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, জাতীয় নিরাপত্তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।