এজবাস্টন টেস্টে ভারতের সামনে বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ভারতের ২৪৪ রানের লিড এবং হাতে ৯ উইকেট থাকা সত্ত্বেও, সেঞ্চুরি হাঁকানো ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক ঘোষণা করেছেন, তারা যেকোনো লক্ষ্যই তাড়া করতে সক্ষম। এটি কি প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল, নাকি ‘বাজবল’ দর্শনের প্রতি অটুট বিশ্বাস? ইতিহাস অবশ্য ব্রুকের আশাবাদকে আরও গভীর প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলছে।
নিজের ১৫৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের পর ভারতীয় দলকে রীতিমতো সতর্ক করে দিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। ব্রুকের দৃঢ় বিশ্বাস, তার দল চতুর্থ ইনিংসে যত বড় রানই হোক না কেন, তা তাড়া করতে প্রস্তুত। এমনটা মনে করা হচ্ছে যে, যদি ভারতীয় দল চতুর্থ দিনে আরও দুই থেকে আড়াই সেশন ব্যাট করে, তাহলে ইংল্যান্ডকে হয়তো ৫০০-এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হতে পারে। তবে এই বিশাল লক্ষ্য নিয়েও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন এই ইংলিশ ব্যাটার।
তৃতীয় দিনের খেলার শেষে বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারি ব্রুক বলেন, “আমি এখনও মনে করি আমরা এই টেস্ট ম্যাচটি জিততে পারব। সবাই জানে যে আমরা লক্ষ্য তাড়া করব, তা যত বড়ই হোক না কেন। আমরা আগেও এটা করেছি এবং আবার চেষ্টা করব।” জেমি স্মিথের সঙ্গে তার অসাধারণ জুটি দলকে কিছুটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এই পার্টনারশিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জেমি স্মিথের সঙ্গে ক্রিজে সময় কাটাতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আশা করি আমরা ম্যাচে ফিরে আসব।”
**ভারতীয় বোলারদের প্রশংসায় ব্রুক, কিন্তু আক্ষেপ নিজের আউট নিয়ে**
ম্যাচে নিজের আউট নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেও ভারতীয় বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ব্রুক। তিনি বলেন, “আমি যদি আউট না হতাম, তাহলে আমরা এই জায়গায় থাকতাম না। আকাশ দীপ এবং মহম্মদ সিরাজ দারুণ বোলিং করেছে। উইকেট নেওয়ার জন্য তারা সব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।” ব্রুকের আউট হওয়ার পরই ম্যাচের গতিপথ কিছুটা ভারতের দিকে হেলে যায়।
হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও, এজবাস্টন টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ড দল বর্তমানে কিছুটা পিছিয়েই আছে। এই ম্যাচে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে। জবাবে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ৪০৭ রানে গুটিয়ে যায়, ফলে ভারত প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের মূল্যবান লিড পায়। যদিও ভারত চালকের আসনে রয়েছে, তবে ‘বাজবল’ খ্যাত ইংল্যান্ডকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। চতুর্থ দিনের খেলা এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে আছেন, চতুর্থ দিনে এজবাস্টনের পিচ থেকে কোন দল শেষ হাসি হাসে!
“`