যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ভয়ঙ্কর মোড়! ‘হামাসের হত্যা বন্ধ না হলে গাজায় ঢুকবে আমেরিকা’, কড়া হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সদ্য কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দী চুক্তির মধ্যেই গাজায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার সন্দেহে হামাস প্রকাশ্যে প্যালেস্তানীয়দের হত্যা করা শুরু করেছে। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এল, যখন গাজায় অভ্যন্তরীণ হিংসা কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা হচ্ছিল।

ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি গাজায় নিরীহ সাধারণ মানুষের হত্যা চলতে থাকে, তাহলে আমেরিকার কাছে বিকল্প সীমিত হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, এই পরিস্থিতিতে আমেরিকাকে গাজায় প্রবেশ করে হামাস যোদ্ধাদের নিশানা করতে হতে পারে।

তাঁর এই মন্তব্যে গাজায় সরাসরি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের পথ খুলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা, যা বাইডেন প্রশাসনের আগের অবস্থানের থেকেও অনেক বেশি গুরুতর।

নতুন হামলাকে সমর্থন: ট্রাম্প আরও স্পষ্ট করেছেন যে, যদি হামাস চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে, তাহলে আমেরিকা ইজরায়েলের নতুন হামলাকে পূর্ণ সমর্থন দেবে।

ভাইস প্রেসিডেন্টের ভিন্ন সুর
এদিকে, ট্রাম্পের এই কঠোর মন্তব্যের বিপরীতে কিছুটা ভিন্ন সুর শোনা গেছে মার্কিন প্রশাসনের অন্য অংশ থেকে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স রবিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, আমেরিকা বর্তমানে গাজায় স্থল সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে না। তিনি জানান, মাত্র ২০০ জন মার্কিন সেনা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পর্যবেক্ষণের জন্য ইজরায়েলে মোতায়েন করা হবে।

পণবন্দী চুক্তি নিয়ে ইজরায়েল ও হামাস
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন যে, ইজরায়েল কোনো চুক্তি থেকে পিছু হটবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, হামাস যেন পণবন্দীদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার সাথে সম্পর্কিত সমস্ত চুক্তির নিয়ম মেনে চলে।

এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী পালন করেছে এবং তাদের কাছে থাকা সমস্ত পণবন্দীর দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে। তবে গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর হামাসের কথিত হত্যাযজ্ঞের খবরটিই এখন প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ভিত্তিতে ট্রাম্প চরম সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy