একসময় গ্রামবাংলার বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল পুতুল নাচ। ২০০০ সালের আগে যেকোনো পুজো, মেলা বা অনুষ্ঠানে এই পুতুল নাচ দেখতে ভিড় জমাতেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু স্মার্টফোন ও টিভির যুগে সেই চাহিদা এখন কমে গেছে। একসময় যে শিল্পীরা এই পুতুল নাচ দেখিয়ে ভাল উপার্জন করতেন, তাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে পড়ে যে অনেকেই এই শিল্প ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এখন রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আবার এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে, যা শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
বাঁকুড়ার সোনামুখী রামপুর গ্রামের শিল্পীরা এখনও এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। একসময় গ্রামবাংলার মানুষ পুতুল নাচের কথা শুনলেই উৎসাহী হয়ে হাজির হতেন, এখন সেই দৃশ্য বিরল। তবুও দেবী প্রসাদ সিংহের মতো শিল্পীরা সরকারের সামান্য সহযোগিতায় এই শিল্পকে ধরে রেখেছেন।
শিল্পীরা জানান, ২০০০ সালের পর যখন গ্রামে টিভি ও সিনেমা দেখার চল শুরু হয়, তখন পুতুল নাচের দর্শকসংখ্যা কমে যেতে থাকে। বাধ্য হয়ে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার এই শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অনুদান এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার ফলে শিল্পীরা আবারও তাদের এই শিল্প নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হয়েছেন।