অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন তার প্রাক্তন সচিব সুমন রায়চৌধুরী এবং তার স্ত্রী। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিঠুন চক্রবর্তী তার বিরুদ্ধে ওঠা মামলা খারিজ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে বুধবার হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মিঠুন এবং তার ঘনিষ্ঠ বিমান সরকার সুমন রায়চৌধুরীকে দিয়ে একটি হোটেলের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের কাজ করিয়েছিলেন। সুমনবাবু অভিযোগ করেন যে, প্রথম দফায় কিছু টাকা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে জোর করে তাকে অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। এই কাজ করতে গিয়ে সুমনবাবু তার স্ত্রীর গয়না বন্ধক রাখতে বাধ্য হন।
অভিযোগকারী দম্পতির দাবি, মিঠুন এবং বিমান সরকার বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তা দেননি। যেহেতু কাজের কোনো লিখিত নথি ছিল না, তাই সুমনবাবু বিপাকে পড়েন। তাদের অভিযোগ, মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে।
সুমনবাবুর স্ত্রীর অভিযোগ, টাকা চাইতে গেলে তাকে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়। এরপরই তারা উত্তর কলকাতার চিৎপুর থানায় মিঠুন চক্রবর্তী এবং বিমান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই মামলার তদন্ত চলবে এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তবে আদালত আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিনেতাকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার জন্য তলব করেছেন।
এই ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়েছে।