মালদার ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে তৈরি ‘গরিবের বন্ধু’, জেনেনিন কে এই মতিবুর?

মালদা জেলার রাজনীতিতে এবার নতুন এক সমীকরণের আভাস। মিম (AIMIM), নওসাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ কিংবা হুমায়ুন কবীরের পর এবার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে ভোটের ময়দানে নামতে চলেছেন সমাজমাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবসায়ী মতিবুর রহমান। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি লড়াই করবেন বলে খবর চাউর হতেই জেলা রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই হরিশ্চন্দ্রপুর থেকেই বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন মতিবুর। তাঁর সেই লড়াইয়ে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটিতে ভাঙন ধরেছিল এবং হাত শিবিরকে পিছনে ফেলে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। সেই মতিবুর রহমানই এবার ফের কোমর বেঁধে নামছেন। তবে এবার তিনি কোন দলের প্রতীক নিয়ে লড়বেন, তা এখনও খোলসা করেননি। কিন্তু লড়াই যে তিনি করবেনই, তা বুঝিয়ে দিতে ২ কোটি টাকার উন্নয়নের ইস্তেহার প্রকাশ করে বড়সড় চমক দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

মতিবুর রহমানের কথায়, তিনি কেবল ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, বরং ‘গরিবের বন্ধু’ হয়ে মানুষের সেবা করতে চান। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে খেলা হবে। আমি টি-২০ খেলতে নেমেছি।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও চায়ের ঠেকে চর্চা তুঙ্গে। মতিবুরের ঘনিষ্ঠ মহল ও সহকর্মী হেফজুর রহমানের দাবি, ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, তাই স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের প্রতিনিধি হওয়া প্রয়োজন।

মালদার ১২টি বিধানসভা আসনেই সংখ্যালঘু ভোট একটি নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। আর এই ভোটব্যাঙ্কের ওপর ভরসা করেই মতিবুর থেকে শুরু করে মিম বা আইএসএফের মতো শক্তিগুলো ময়দানে ঝাঁপিয়েছে। এই বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি জানান, “গণতন্ত্রে সবারই নির্বাচনে লড়াই করার অধিকার রয়েছে। তবে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব যাকে প্রতীক দেবেন, কর্মীরা তাঁর হয়েই জান লড়িয়ে দেবেন।” মতিবুরের এই উত্থান হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল না বিজেপি—কার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে, এখন সেটাই দেখার। (রিপোর্টার: মিলটন পাল)

Related Posts

© 2026 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy