দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এক আনন্দঘন পরিবেশে উদ্বোধন হলো মামজোয়ান বড় ঘাটের। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চূর্ণী নদীর তীরে নির্মিত এই বাঁধানো ঘাট, মামজোয়ানবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ করল। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ঘিরে গোটা মামজোয়ান গ্রাম মেতে উঠেছিল গঙ্গা আরতি ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভার হাসখালি ব্লকের মামজোয়ানের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে চূর্ণী নদীতে একটি বাঁধানো স্নানের ঘাটের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের এই দাবি নিয়ে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্রুত ঘাট নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। শনিবার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপায়িত হওয়ায় এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
নবনির্মিত ঘাটের উদ্বোধনের পূর্বে, এক মনোরম পরিবেশে নদীঘাটে বিশেষ পূজা ও আরতির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় চূর্ণী নদীর শান্ত পরিবেশে আরতির আলোয় এক আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়, যা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। সাংসদ জগন্নাথ সরকার নিজে উপস্থিত থেকে ফলক উন্মোচন করে ঘাটের শুভ সূচনা করেন।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ জগন্নাথ সরকার মামজোয়ানবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে সক্ষম হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি এই গ্রামের উন্নয়নে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে একটি নতুন রাস্তা তৈরিরও আশ্বাস দেন। সাংসদের এই ঘোষণা মামজোয়ানবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
এই ঘাট শুধুমাত্র স্নানের সুবিধাই দেবে না, বরং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। মামজোয়ানবাসী এখন এই নতুন ঘাটকে কেন্দ্র করে এক নতুন যুগের সূচনা দেখছেন।