রাজনীতি থেকে দূরে ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। গত ৩০ মে জার্মানিতে প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ের পর সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির একটি বিলাসবহুল হোটেলে তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এই জমকালো অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা।
হোটেল ললিতের এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চ পদস্থ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা বীরেন্দ্র সিং নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংসদ সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একাধিক নেতা-নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষও নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যদিও মহুয়া মৈত্রের আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও দলীয় বৈঠকের কারণে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
তৃণমূলের দুইবারের সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর স্পষ্টভাষী বক্তব্য এবং রাজনৈতিক স্বতন্ত্রতার জন্য পরিচিত। তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্টও অনেকের নজর কেড়েছে। অন্যদিকে, পিনাকী মিশ্র ওড়িশার প্রাক্তন লোকসভার সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি সেন্ট স্টিফেনস কলেজ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। উল্লেখ্য, এটি মহুয়া ও পিনাকী উভয়েরই দ্বিতীয় বিবাহ।
মহুয়া মৈত্র ও পিনাকী মিশ্রের এই নতুন যাত্রা রাজনৈতিক ও পেশাগত জগতের এক বুদ্ধিমত্তা এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একদিকে মহুয়ার রাজনৈতিক স্পষ্টতা এবং অন্যদিকে পিনাকীর গভীর আইনজ্ঞসুলভ উপলব্ধি – এই নতুন সম্পর্ক রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বিবাহোত্তর সংবর্ধনার ছবি ও খবর দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।