পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে এক তৃণমূল নেতার একটি আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা tips24 যাচাই করেনি) ওই নেতাকে উলঙ্গ অবস্থায় হস্তমৈথুনে মগ্ন দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিও এবং কিছু ছবি বর্তমানে দলের নেতা-কর্মীদের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই নেতা নিজেই নাকি মহিলাদের কাছে এই ভিডিও পাঠাতেন এবং সেই মহিলাদের মাধ্যমেই কোনোভাবে এটি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
জানা যাচ্ছে, ওই তৃণমূল নেতা বর্তমানে দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি ভিডিওটি কোনো এক মহিলার মোবাইলে পাঠানোর পরই তা প্রকাশ্যে আসে। যদিও লোকলজ্জার ভয়ে ওই মহিলা এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি।
যে নেতার ভিডিও নিয়ে এলাকায় এত চর্চা, বছর তিনেক আগে তাঁকে দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। তার আগে তিনি আউশগ্রাম এলাকার একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। বছর ছয়েক আগেও তাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় সাময়িকভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে দলের তৎকালীন ব্লক তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে অন্তরঙ্গতার সুবাদে তিনি আবার দলে ফিরে আসেন এবং বছর তিনেক আগে দলের পদও পেয়ে যান। প্রৌঢ় ওই শাসক নেতার এই ভিডিও দলের জেলা স্তরের নেতাদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য এস সি এস টি সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু বলেন, “বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে খোঁজ নিচ্ছি। আমাদের দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আছে। যদি কেউ আপত্তিকর বা অপরাধমূলক আচরণ করে থাকেন প্রয়োজনে কমিটিতে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজনৈতিক মহলের খবর অনুযায়ী, আউশগ্রামের ওই তৃণমূল নেতার ভিডিওর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার তাঁকে ভর্ৎসনা করে গুসকরার কার্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করে দিয়েছেন। তবে বিধায়ক প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। তিনি বলেন, “আমি সঠিক জানি না কী ঘটেছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।” এই ঘটনায় জেলা রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।