বঙ্গোপসাগরের অতিগভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হলেও এখনই থামছে না বৃষ্টি। দশমী থেকেই দক্ষিণবঙ্গে যার প্রভাব শুরু হয়েছিল, তা এখন সরে গেছে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে। বর্তমানে ফুলবনী, ভবানীপটনা, সম্বলপুর এবং ঝারসুগড়ার উপর অবস্থান করলেও, এটি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। তবে আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, এই নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের জন্য মারাত্মক দুর্যোগের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটকদের জন্য চরম সতর্কতা
পুজো শেষ হতেই অসংখ্য পর্যটক পাহাড় ও ডুয়ার্সে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বা রওনা দিয়েছেন। তাঁদের জন্যই জারি হয়েছে স্পেশাল বুলেটিন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ (শুক্রবার) এবং আগামিকাল (শনিবার) উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে। এর পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং সহ পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ধস নামার আশঙ্কা প্রবল।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গন থেকে গ্যাংটক যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলি ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত। মঙ্গন-চুংথাং সংযোগকারী তিনটি প্রধান রুট কার্যত বন্ধ। বিশেষ করে রিংখোলা এলাকায় ধসের কারণে ফিডাং-সাংলালাং রোড বন্ধ। লাচেন যাওয়ার রাস্তা ধসের জেরে অচল হয়ে রয়েছে, তবে লাচুং ও চুংথাং যাওয়ার রাস্তা এখনও স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কবে থামবে?
নিম্নচাপ দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ভোগান্তি চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। IMD জানিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন অংশেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।