জাপানের টয়লেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি টোটো (TOTO) গত শনিবার (১ আগস্ট) থেকে সে দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের অত্যাধুনিক স্মার্ট টয়লেট। সাধারণ টয়লেটের ধারণাকে পাল্টে দিয়ে এই নতুন উদ্ভাবনটি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক চাহিদা মেটাতেই নয়, ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্য নিরীক্ষণেও ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি। মূলত স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের লক্ষ্য করেই এই বিশেষ টয়লেট ডিজাইন করা হয়েছে।
টোটো জানিয়েছে, তাদের এই স্মার্ট টয়লেট শুধুমাত্র বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ করবে না, এতে থাকবে বিশেষ সেন্সর যা মানুষের মলের রঙ, ঘনত্ব এবং পরিমাণ বিশ্লেষণ করবে। টয়লেটের ভেতরে স্থাপিত একটি এলইডি আলো বর্জ্যের উপর পড়বে এবং সেন্সর সেই প্রতিফলিত আলো গ্রহণ করে তার আকার, পরিমাণ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করবে। এই স্মার্ট টয়লেট মলের রঙকে তিনটি ভিন্ন শেডে, কঠোরতাকে সাতটি স্তরে এবং আয়তনকে তিনটি স্তরে পরিমাপ করতে সক্ষম। এই ডেটা স্বাস্থ্য সচেতন ব্যবহারকারীদের নিজেদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা পেতে সাহায্য করবে।
টোটো আরও জানিয়েছে, জাপানে এই প্রথমবারের মতো সাধারণ বাড়ির ব্যবহারের জন্য এমন উন্নত মানের স্মার্ট টয়লেট বাজারে আনা হচ্ছে। তাদের সর্বাধুনিক ‘নিওরেস্ট’ (Neorest) সিরিজের দুটি মডেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কোম্পানি বছরে ৭,৩০০টি স্মার্ট টয়লেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এই অত্যাধুনিক টয়লেটের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ জাপানি ইয়েন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকারও বেশি। ফলে যারা এই স্মার্ট টয়লেট ব্যবহার করতে চান, তাদের বেশ বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে।
দ্য স্ট্রেইট টাইমস-এর সূত্র অনুযায়ী, টোটোর এই নতুন উদ্ভাবন স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের পর্যবেক্ষণে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।