আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। শুভেন্দুর দাবি, এই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যার মধ্যে নির্যাতিতার বাবা-মাও রয়েছেন।
এদিনের কর্মসূচি রানি রাসমণি রোড থেকে শুরু হলেও, মিছিল বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পার্ক স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোডে শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল-সহ একাধিক বিধায়ক রাস্তায় বসে পড়েন। শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের মারে একশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর মাশুল দিতে হবে, এই আন্দোলন আরও বড় হবে।” সকালে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি থাকলেও পুলিশ মানুষকে জমায়েতস্থলে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছিল।
অন্যদিকে, হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা লোহার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ লাঠি দিয়ে ব্যারিকেড ফাঁক করার চেষ্টা করেন। পুলিশ বারবার শান্ত থাকার নির্দেশ দিলেও বিক্ষোভকারীরা তা মানতে রাজি হননি। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, পোস্টার ও ব্যানার। তারা নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
নবান্ন অভিযানের খবর আগে থেকেই থাকায় কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশাল পুলিশবাহিনী, র্যাফ এবং জলকামান মোতায়েন ছিল। পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছিল, নবান্নের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। এমনকি সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বিকল্প আন্দোলনস্থলের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের একাংশ এই প্রস্তাবে কর্ণপাত করেননি। তাদের বক্তব্য, “এক বছর কেটে গেল, তবুও নির্যাতিতার ন্যায়বিচার হয়নি। পুলিশ যাই করুক, আমরা নবান্নে যাবই।”