অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া জেলায় এক গলাকাটা মহিলার দেহ এবং তার অল্প দূরে রেললাইন থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ।
জোড়া দেহ উদ্ধার ও পুলিশের অনুমান
দু’জনের দেহই উদ্ধার হয়েছে সমরলাকোটা এলাকা থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সমরলাকোটার পানাসপাদু গ্রামের শুভ্রমানেশ্বরা স্বামী মন্দিরের পাশের একটি খালে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার গলাকাটা দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ মনে করছে, তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানকার গুদাপত্রি রেলওয়ে গেটের কাছ থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবক ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। যেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়, তা খাল থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, আত্মঘাতী হওয়ার আগেই ওই যুবক মহিলাকে খুন করে থাকতে পারেন।
যোগসূত্রের সূত্র ও পরিচয়
পেড্ডাপুরম এলাকার ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পরে পুলিশ আধিকারিকদের দৃঢ় ধারণা হয়েছে যে দুটি ঘটনার মধ্যে একটি স্পষ্ট যোগসূত্র থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রহস্যের কিনারা করতে বেশ কিছু সূত্র হাতে এসেছে:
যেখান থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানেই পাওয়া গিয়েছে ওই যুবকের টুপি। এছাড়াও, দু’জনের মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। সেই ফোন পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার কথা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই দু’জনেই কাকিনাড়া জেলার গোল্লাপোরলু এলাকার দুর্গাদা গ্রামের বাসিন্দা।
বর্তমানে পুলিশ দুটি ঘটনার সংযোগের বিষয়টি এবং খুনের আসল কারণ কী, তা খুঁজে বের করার জন্য জোরদার তদন্ত শুরু করেছে।