পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের নিবিড় প্রক্রিয়া (Special Intensive Revision – SIR) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) তাদের উদ্বেগ জানাতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ECI) সদর দফতরে পৌঁছেছে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় SIR কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কমিশনকে চিঠি দিলেও কোনো জবাব না পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ‘সংকটে’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ভোটার তালিকায় প্রায় ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ২০০২ সালের পুরনো স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) তালিকার সঙ্গে মিলছে না। ২০০৬ সালের পর তৈরি হওয়া তালিকার সঙ্গে সর্বশেষ ভোটার তালিকার ক্রস-ভেরিফিকেশনের (বা ম্যাপিং) সময় এই বিরাট গরমিলটি ধরা পড়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের মধ্যে রাজ্যের ছয় কোটিরও বেশি গণনা ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে। এই ডিজিটাইজ করা ফর্মগুলিই এখন ম্যাপিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালের SIR রেকর্ডের তুলনায় গরমিলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কমিশনের স্পষ্ট বার্তা: এখনই নাম বাদ যাচ্ছে না
যদিও তৃণমূলের উদ্বেগের মাঝে কমিশনের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে এই গরমিল খুঁজে পাওয়ার অর্থ এই নয় যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে এই ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম মুছে ফেলা হবে। তারা জানান, এই সংখ্যাটি শুধুমাত্র পুরনো ও নতুন তালিকার মধ্যে ম্যাপিংয়ের সমস্যা দেখাচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও নিবিড় যাচাই-বাছাই করা হবে।
কেরলে সময়সূচি অপরিবর্তিত
এদিকে, কেরলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রতন খলকর স্পষ্ট করেছেন যে সেখানে SIR-এর সময়সূচী পরিবর্তন করা হবে না এবং খসড়া তালিকা নির্ধারিত তারিখ ৯ ডিসেম্বরই প্রকাশ করা হবে। তিনি প্রশিক্ষণের অভাব দূর করার এবং প্রবাসী ভোটারদের উদ্বেগ নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।