নির্বাচন কমিশনের অন্দরেই বড়সড় প্রশাসনিক ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, যা ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ও ময়নায় ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে অস্তিত্বহীন ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে চারজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-কে তলব করা হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, দুই ERO এবং দুই AERO-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র অনুযায়ী, নন্দকুমারের ERO সৌরভ মৈত্র অভিযোগ স্বীকার করেছেন যে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৫৯ জন অস্তিত্বহীন ভোটারের নাম তালিকায় যোগ করা হয়েছে। ময়নার ERO বিপ্লব সরকার এবং AERO সুদীপ্ত দাসকেও সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ, নন্দকুমারের ওসি ইলেকশন হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত AERO সুদীপ্ত দাস তিনটি ব্লকের (ময়না, নন্দকুমার ও তমলুক) ERO-দের OTP ব্যবহার করে কারচুপি করেছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, সুদীপ্ত দাস প্রথমে অপারেটরের অ্যাকাউন্ট থেকে অনুরোধ গ্রহণ করেন, তারপর নিজেই AERO-এর অ্যাকাউন্ট থেকে তা অনুমোদন করেন এবং শেষ পর্যন্ত ERO-এর অ্যাকাউন্ট থেকেও অনুমোদন দিয়ে দেন। যেহেতু তার কাছে সবার OTP ছিল, তাই এই কাজটি সম্ভব হয়েছে। নন্দকুমারের ERO সৌরভ মৈত্রকেও একই কারণে তলব করা হয়েছিল। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, যা এই অভিযোগের সত্যতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই ঘটনাটি শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য বড় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কোনো সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।