দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে নবগ্রাম ব্লকে পাটের জমিতে ব্যাপক জল জমে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা। বিঘের পর বিঘা জমি এখন জলের নিচে। ফলে পাট গাছে পচন ধরার আশঙ্কায় অনেক চাষিকেই বাধ্য হয়ে সময়ের আগেই পাট কেটে নিতে হচ্ছে।
জমিতে জল জমে থাকায় পাটের মান ও ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় কৃষকরা পাট কেটে তা শুকানোর জন্য প্রস্তুত করছেন, যাতে বাজারে তা বিক্রি করা যায়। নবগ্রামের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এখন চাষিদের মধ্যে চরম ব্যস্ততা। পাট গাছ কেটে তা মাঠে জমে থাকা জলেই ডুবিয়ে পচানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরপরে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজও চলছে জোর কদমে।
চাষিদের কথায়, বর্ষাকালে পাট পচানোর জন্য নদী, নালা, খাল, বিল, বা ডোবায় বিপুল পরিমাণ জল প্রয়োজন হয়। এবছর বর্ষার শুরুতে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা আশঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু এখন টানা বৃষ্টির কারণে পুকুর ও জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত জল জমেছে, যা পাট পচানোর জন্য সহায়ক। তাই একদিক থেকে যেমন জল জমে ফসল পচার আশঙ্কা, অন্যদিকে তেমনই পাট পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় জল পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চাষিরা।
সাধারণত, পাট চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট পচতে প্রায় ২৩-২৫ দিন সময় লাগে। এরপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সেই পাট বিভিন্ন জুট মিলে পাঠানো হয়। তবে, এবার অতিবৃষ্টির কারণে পাটের গুণগত মান কেমন হবে, তা নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত।