ভারত বঙ্গোপসাগরে একটি NOTAM (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করেছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত শীঘ্রই একটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে। এই পরীক্ষার ঠিক আগে ভারত মহাসাগর (Indian Ocean) অঞ্চলে চীন এবং আমেরিকা উভয় দেশের গুপ্তচর জাহাজগুলিকে (Spy Ships) টহল দিতে দেখা গেছে, যা সামরিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
সূত্রমতে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সতর্কতার পরেই এই দুই শক্তিধর দেশ ভারত মহাসাগরের দিকে তাদের অত্যাধুনিক নজরদারি জাহাজ পাঠিয়েছে। যদিও এই জাহাজগুলিকে সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ বলে দাবি করা হয়, তবে বাস্তবে এগুলো অন্যান্য দেশের সামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভারত মহাসাগরে সক্রিয় চীন ও আমেরিকা
ভারত মহাসাগরে সক্রিয় হওয়া দুটি প্রধান নজরদারি জাহাজ হল:
চীনের ইউয়ান ওয়াং ৫ (Yuan Wang 5): চিনা স্পাই জাহাজটি সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং থেকে রওনা হয়ে ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছে। এটি চীনের ক্ষেপণাস্ত্র এবং উপগ্রহ ট্র্যাকিং সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করতে সক্ষম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওশান টাইটান (Ocean Titan): মার্কিন গোয়েন্দা ও জরিপ জাহাজ ‘ওশান টাইটান’ ভারতের পশ্চিম উপকূলের কাছে টহল দিচ্ছে। এই ৬৮ মিটার লম্বা জাহাজটি অত্যাধুনিক জরিপ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি সামুদ্রিক নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করে বলে মনে করা হয়।
কবে হবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ?
ভারতের জারি করা NOTAM অনুসারে, বঙ্গোপসাগরের ৩৫৫০ কিলোমিটার এলাকাকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জল্পনা তীব্র হয়েছে যে ভারত ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে তার নতুন দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে।
ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে দেশের কৌশলগত ক্ষমতা এবং স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা শক্তি আরও শক্তিশালী করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে চীন ও আমেরিকার গুপ্তচর জাহাজের উপস্থিতি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।