ভারতের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ‘অন্যায্য’ সমালোচনা, GTRI-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্য!

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI)-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ান তেল আমদানি নিয়ে ভারতকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তু করছেন, কিন্তু রাশিয়ার বৃহত্তম তেল ক্রেতা চিনকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতিটি ভূ-রাজনৈতিক কৌশল দ্বারা পরিচালিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে চিন রাশিয়ার থেকে $৬২.৬ বিলিয়ন মূল্যের তেল আমদানি করেছে, যা ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। একই সময়ে, ভারত $৫২.৭ বিলিয়ন মূল্যের তেল কিনেছে। এরপরও ট্রাম্প তার সমস্ত অভিযোগের তীর ভারতের দিকেই ঘুরিয়েছেন।

GTRI-এর মতে, “ট্রাম্প সম্ভবত ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের কারণে চিনের সমালোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং এর পরিবর্তে ভারতের ওপর অন্যায্যভাবে চাপ দিচ্ছেন।” ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক দাবিকে এই প্রতিবেদনে সরাসরি ভুল ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে ভারত “বিপুল পরিমাণে রাশিয়ান তেল কিনে বড় মুনাফা করছে,” যা GTRI সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে।

ভারত অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে না
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক GTRI স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ভারত অপরিশোধিত তেলের রপ্তানিকারক নয়। বরং, এটি একটি প্রধান আমদানিকারক দেশ এবং এর অপরিশোধিত তেল রপ্তানি শূন্য। ভারত যা রপ্তানি করে তা হলো পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য, যেমন ডিজেল এবং জেট ফুয়েল। এই পণ্যগুলোর উৎপাদনে কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্যবহৃত হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং স্বাভাবিক বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া।

শোধনাগারগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত
GTRI আরও জানিয়েছে যে, ভারতের সরকারি ও বেসরকারি তেল শোধনাগারগুলো নিজস্ব বাণিজ্যিক বিচার-বিবেচনার ভিত্তিতে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে রয়েছে দাম, সরবরাহের নির্ভরযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার। এই শোধনাগারগুলোকে রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ থেকে তেল কেনার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। যদি তারা মনে করে যে রাশিয়ান তেল আমদানিতে কোনো ঝুঁকি আছে, যেমন কোনো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা, তবে তারা নিজেরাই সেই আমদানি কমিয়ে দিতে পারে বা বন্ধ করে দিতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy