দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের সূর্যনগরে মা কালীর একটি মূর্তির শিরশ্ছেদের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) হ্যান্ডেল যুক্ত করে বার্তা দিয়েছেন, “পদক্ষেপ করার সময়, ব্যবস্থা নেওয়ার সময়!”
বৃহস্পতিবার তথাগত রায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে এই ঘটনা উল্লেখ করে বাঙালি হিন্দুদের মানসিকতা এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তথাগত রায়ের এক্স পোস্টের মূল বক্তব্য
প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় তাঁর পোস্টে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুদের বিভিন্ন দেব-দেবীর জনপ্রিয়তার উল্লেখ করেন। এরপরই তিনি কাকদ্বীপের ঘটনা প্রসঙ্গে লেখেন:
ঘটনার উল্লেখ: “গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে মা কালীর একটি মূর্তির শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল (আমি বলতে চাই কে করেছেন?)।”
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: তাঁর অভিযোগ, আততায়ীদের গ্রেপ্তার করার পরিবর্তে পুলিশ মা কালীর ভাঙা মূর্তিটি ‘অপবিত্র’ অবস্থায় নিয়ে যায় এবং “জোর করে একটি প্রিজন ভ্যানে তুলে তাকে টেনে নিয়ে যায়।” (উল্লেখ্য, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ভাঙা মূর্তি নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে)।
বাঙালি হিন্দুদের মানসিকতা: তথাগত রায় মনে করেন, “বামপন্থী-‘ধর্মনিরপেক্ষ’, ধর্মান্ধতার শতাব্দীর দ্বারা কলুষিত মানসিকতা”, যার ফলে “বাঙালি হিন্দুরা এখনও বিচলিত নয়।”
ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্কতা: এই ঘটনাকে তিনি “তাদের জন্য শেষের শুরু” বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ যদি “ইসলামী বাংলার যবনদের দ্বারা দখল করা হয়”, তবে “উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”
প্রাক্তন রাজ্যপালের এই মন্তব্য কাকদ্বীপের মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে এর আগেও বিজেপি নেতারা সরব হয়েছিলেন। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ট্যাগ করে তথাগত রায়ের এই বার্তা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত বহন করছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।