দেশের দুই ভিন্ন রাজ্যে ঘটল পারিবারিক বিবাদের চরম পরিণতি। উত্তরপ্রদেশে আবর্জনা ফেলা নিয়ে ঝগড়ার জেরে ভাইকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল অপর ভাই ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে সম্পত্তির বিবাদে রক্তাক্ত হওয়া এক যুবককে সাহায্য না করে পুলিশ স্টেশনের কর্তব্যরত কর্মীরা গাড়ি ধোওয়া দেখতে ব্যস্ত রইলেন বলে অভিযোগ।
উত্তরপ্রদেশ: কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খুন
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ছোট ভাইয়ের মেয়ে সুনীল তার কাকা বীরেন্দ্রের (৪০) বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলেছিল। বীরেন্দ্র আপত্তি জানালে দুই ভাইয়ের মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়।
অভিযোগ, ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুনীল এবং তাঁর স্ত্রী গুড্ডো ৪০ বছর বয়সী বীরেন্দ্রের মাথায় কুড়াল এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে বীরেন্দ্র গুরুতর আহত হন এবং ব্যাপক রক্তক্ষরণ ঘটে। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে এবং পরে মিরাটের একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়, কিন্তু সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বীরেন্দ্রের স্ত্রী চঞ্চল এরপর সুনীল এবং গুড্ডোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই দম্পতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
মধ্যপ্রদেশ: ‘আমাকে বাঁচান’ চিৎকারেও কর্ণপাত করেনি পুলিশ!
উত্তরপ্রদেশের ঘটনার মতো আত্মীয়ের বিবাদের চরম পরিণতি হয়েছে মধ্যপ্রদেশেও, তবে এই ঘটনায় সামনে এসেছে পুলিশের চরম অসংবেদনশীলতা। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার দাবোহ থানায় ঘটেছে এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারথারা গ্রামে পরিহার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পুরনো সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার সেই বিবাদ হিংসাত্মক রূপ নেয়। অভিযোগ, নারায়ণ পরিহার এবং কোমল পরিহার তাঁদের আত্মীয় শ্যামু পরিহারকে দেওয়াল তৈরির সময় কুড়াল এবং লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন। এতে শ্যামু গুরুতর আহত হন এবং তাঁর প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
প্রচুর রক্তক্ষরণের পর শ্যামু পরিহারকে তাঁর ভাই রামু উদ্ধার করে জরুরি সাহায্য এবং সুরক্ষার জন্য থানায় নিয়ে যান। অভিযোগ, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবক পুলিশ স্টেশনে ‘আমাকে বাঁচান’ বলে কাতর অনুরোধ জানালেও, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি। তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা বা মামলা দায়েরের পরিবর্তে, পুলিশ উল্টে ব্যস্ত ছিলেন নিজের গাড়ি ঠিকমতো ধোওয়া হচ্ছে কি না তা দেখতে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই চরম অবহেলাকে ‘অমানবিকতা’ বলে অভিহিত করেছেন। অনেকেই সমগ্র ঘটনাটিকে ‘এমপি আজব হ্যায়, সবসে গজব হ্যায়’-এর এক উজ্জ্বল উদাহরণ বলে কটাক্ষ করেছেন।