নগদ টাকা ও সোনার গহনার পাশাপাশি দুষ্কৃতীর দল চুরি করে নিয়ে গেল বিরিয়ানি তৈরির চাল, চুড়িদার ও শাড়ি! সোমবার গভীর রাতে মেমারীর রসুলপুর বাজার এলাকায় একাধিক দোকানে পর পর চুরি ও একটি সরকারি ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা এই ত্রাস সৃষ্টি করে। তাদের লক্ষ্য ছিল শুধু মূল্যবান সামগ্রী নয়, দোকানে যা পেয়েছে তাই।
লুঠের তালিকায় বিরিয়ানির চাল, শাড়ি ও নগদ টাকা
রসুলপুর বাজারের একাধিক দোকানে প্রায় লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়েছে। লুঠের সামগ্রীর তালিকা রীতিমতো অবাক করার মতো:
চালের দোকান: একজন চাল ব্যবসায়ীর অভিযোগ, দোকানের শাটার ভেঙে লুঠপাট চালিয়ে নগদ প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও সঙ্গে ৫ বস্তা বিরিয়ানি তৈরির চাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।
গহনার দোকান: গহনার দোকানের শাটার ভেঙে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম সোনার গহনা (নাক, কানের দুল) চুরি হয়েছে।
কাপড়ের দোকান: এই দোকান থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা নগদ-সহ মহিলাদের পোশাক (চুড়িদার ও শাড়ি) চুরি যায়।
গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর: পাশের একটি গ্যাস-সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটরের দোকান থেকেও তালা ভেঙে প্রায় ২৫ হাজার টাকা চুরি যায় বলে অভিযোগ।
ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা ও প্রমাণ লোপাট
দোকানে চুরি করার পর চোরেরা রসুলপুর বাজারে থাকা একটি সরকারি ব্যাঙ্কের দিকে হাত বাড়ায়। ব্যাঙ্কের পিছনের জানালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা চুরির চেষ্টা করলেও, রড কাটতে না পারায় তারা ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
এছাড়াও দুষ্কৃতীরা রীতিমতো পেশাদার কায়দায় চুরি করার আগে সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেয় এবং কয়েকটি দোকানের ডিভিআর নিয়েও চম্পট দেয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে একজন দুষ্কৃতীকে তার কাটতে দেখা গেলেও, তার মুখ ঢাকা থাকায় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।