আজ বিজয়া দশমী। পুজো শেষ, এখন শুধুই বছরভরের অপেক্ষা। তবে বিদায়বেলায়ও মুখ ভার নয়— বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেষলগ্নের ‘প্রাণের পুজোয়’ মেতে মহানগর। এই বিদায় লগ্নে যেমন চলছে দেবীবরণ, সিঁদুরখেলা ও ধুনচি নাচের হুল্লোড়, তেমনই প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে গঙ্গাপাড়ে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য।
বেলুড় মঠের বিশেষ বিসর্জন রীতি
ঐতিহ্যবাহী বেলুড় মঠে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মণ্ডপ থেকে বিগ্রহকে মূল মন্দিরের সামনে আনা হয়। সেখানে আরতির পর দেবী প্রতিমাকে মা সারদা মন্দিরের সামনে প্রদক্ষিণ করানো হয়। এরপর মায়ের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
উৎসবের শেষলগ্নে মহানগর
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাতভর ঠাকুর দেখা চলেছে বনেদি থেকে বারোয়ারি— সব মণ্ডপেই। দেবীবরণ, সিঁদুরখেলা, ধুনচি নাচে মেতেছেন সকলে। তিথি ফুরালে প্রণাম-কোলাকুলি ও মিষ্টিমুখে শুরু হবে বিজয়া পর্ব। বছরভরের অপেক্ষার আগে এটাই লাস্ট মিনিটের হুল্লোড়।
নিরঞ্জন ঘিরে গঙ্গায় নজরদারির কড়াকড়ি
শহর জুড়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই বছরও গঙ্গার ঘাটগুলিতে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দল: বাগবাজার, বাজে কদমতলা, গোয়ালিয়র ও নিমতলা ঘাটে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
নজর মিনার: সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে তৈরি হয়েছে নজর মিনার (ওয়াচ টাওয়ার), যেখান থেকে চলবে টানা নজরদারি।
পুলিশি নেতৃত্ব: প্রতিটি ঘাটে এক একটি পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ডিসি, এসি এবং ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকেরা।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরসভা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দলও প্রস্তুত রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও যাতে প্রতিমা বিসর্জনে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে।”