বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যে কোনো সময় ঘোষণা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ জোটের মধ্যে বিজেপি-র কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—অধিক সংখ্যক আসনে জয়লাভ করা। তবে দলের জন্য কঠিন হতে পারে তাদের বর্তমান বিধায়কদের পুনরায় টিকিট দেওয়া।
২০২০ সালের নির্বাচনে আরজেডি-র চেয়ে সামান্য কম আসন পেয়েও বিজেপি ৮০ জন বিধায়ক নিয়ে জোটের বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল, যার মধ্যে ২২ জন মন্ত্রীও রয়েছেন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি’ বা সরকার বিরোধী হাওয়া তাদের লড়াই কঠিন করে তুলবে। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় ফেরার আশা করছে।
বর্তমান বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ:
বিজেপি-র একজন প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, সরকার বিভিন্ন অংশের জন্য নতুন যে সমস্ত প্রকল্প এনেছে, তাতে এনডিএ-র অবস্থান শক্তিশালী হলেও, ক্ষমতাসীন বিধায়কদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ক্ষোভ একটি বড় বাধা তৈরি করতে পারে। বিহারের এই নির্বাচন তাই সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি’র মধ্যে এক কঠিন প্রতিযোগিতায় পরিণত হতে চলেছে।
‘গুজরাট-স্টাইল’ রদবদলের সম্ভাবনা:
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য অনুষ্ঠিত কোর গ্রুপের বৈঠকে বিজেপি ‘গুজরাট ২০২২ মডেল’-এর মতো এক বড় রদবদলের কথা বিবেচনা করেছে। গুজরাটে ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি’ মোকাবিলায় বিজেপি ১০৮ জন ক্ষমতাসীন বিধায়কের মধ্যে ৪৫ জনকে (প্রায় ৪২ শতাংশ) টিকিট দেয়নি, যার মধ্যে একাধিক সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রীও ছিলেন। বিহারেও বিজেপি একই কৌশল নিতে পারে।
বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ সূত্র জানাচ্ছে, বিহারে বহু বর্তমান বিধায়কের জনপ্রিয়তা গত কয়েক মাসে কমেছে। দলের কৌশলবিদরা মনে করছেন, কিছু এলাকায় ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি’র স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে পুরোনো নেতাদের বদলে নতুন মুখকে প্রার্থী করা অত্যন্ত জরুরি। তাদের বিশ্বাস, নতুন মুখ এবং টিকিট বিতরণে পরিবর্তন শুধুমাত্র জনগণের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে না, বরং বিরোধী দলগুলিকেও চ্যালেঞ্জ জানাবে। তবে, এই পদক্ষেপে দলের ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে, কারণ অনেক সিনিয়র নেতা তাদের আসন হারাতে পারেন।
(এশিয়ানেট নিউজএবল দ্বারা প্রকাশিত।)