উত্তর ভারতের আকাশ এখন ঘন কুয়াশা আর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে দূষণের কারণে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি টস ছাড়াই পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতির পর আজ, শুক্রবার ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম— আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের দিকে। সিরিজে ভারত বর্তমানে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, ট্রফি হাতে তুলতে আজ একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাচ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
লখনউয়ের হতাশা বনাম আহমেদাবাদের আশা
লখনউয়ে উত্তর ভারতের শীতকালীন কুয়াশা ও দূষণ খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেওয়ায় ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। তবে আহমেদাবাদের পরিস্থিতি ক্রিকেট খেলার জন্য অনেকটাই ইতিবাচক।
-
দৃশ্যমানতা: সকাল থেকেই আহমেদাবাদে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে ম্যাচ ব্যাহত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
-
সম্ভাবনা: লখনউয়ের মতো এই ম্যাচটিও পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই টস হবে।
আহমেদাবাদের বায়ু সূচক (AQI) ও পরিবেশ:
যদিও আহমেদাবাদে আবহাওয়া পরিষ্কার, তবুও দূষণ নিয়ে একটা সূক্ষ্ম উদ্বেগ থাকছেই।
-
AQI আপডেট: ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে আহমেদাবাদের AQI ১৭৪-এর কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা কিছুটা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
-
দৃশ্যমানতা: ১৮ ডিসেম্বর AQI ছিল ১৩৯। যদিও সূচক বাড়ছে, তবুও তা দৃশ্যমানতা বা খেলায় সরাসরি প্রভাব ফেলার মতো নয়।
-
তাপমাত্রা: ম্যাচ চলাকালীন তাপমাত্রা ১৫°C থেকে ৩০°C-এর মধ্যে থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
পিচ ও টস ফ্যাক্টর:
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত হাই-স্কোরিং হয়। হালকা হাওয়া বইলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির (Dew) একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। শিশিরের কারণে বল ভিজে গেলে বোলারদের গ্রিপ করতে সমস্যা হবে, যার সুবিধা পেতে পারে পরে ব্যাট করা দল। অর্থাৎ, টস জয়ী অধিনায়ক সম্ভবত প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তই নেবেন।
সিরিজের সমীকরণ:
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ২-১ এ এগিয়ে থাকায়, ভারত অন্তত সিরিজ হারছে না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা মরিয়া হয়ে উঠেছে এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাতে। দূষণ আর কুয়াশার লড়াই কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত কার মুখে শেষ হাসি ফোটে, সেটাই এখন দেখার।