বিয়ের আনন্দ শেষ হতে না হতেই নেমে এল চরম বিপর্যয়। অষ্টমঙ্গলা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন এক নতুন জামাই। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় শুধু কনের পরিবার নয়, গোটা গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পৌর এলাকায়। গত রবিবার ওই ২৫ বছর বয়সী যুবকের বিয়ে হয় ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে। মঙ্গলবার বউভাত সম্পন্ন হওয়ার পর বুধবার সকালে নবদম্পতি অষ্টমঙ্গলা করতে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে আনন্দের পরিবেশ মুহূর্তেই পাল্টে যায়, যখন খাকি উর্দি পরিহিত পুলিশকর্মীরা এসে জামাইকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার এক মহিলা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিল। পুলিশ জানতে পারে, অষ্টমঙ্গলার জন্য সে তার শ্বশুরবাড়িতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর থেকেই কনের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তরুণী জানিয়েছেন, এমন একজন অভিযুক্তের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সংসার করবেন না। যদিও প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তরুণী তার সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি বলেন, “এমন স্বামীর সঙ্গে আমি ঘর করব না।”
আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত জামাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এক মহিলা আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তার তিনটি বিয়ে হওয়ায় আমি রাজি হইনি। তাই সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।”
এই ঘটনায় কনের পরিবার চরম সামাজিক লজ্জার মুখে পড়েছে। তারা সংবাদমাধ্যমকে শুধু এটুকুই জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে তারা আর কোনো কথা বলতে চান না। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে আজই জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।