বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় দিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত চিত্তরঞ্জন পার্ক (সিআর পার্ক) এলাকায় পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়ি মন্দির চত্বরে আয়োজিত দুর্গাপূজায় যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মণ্ডপে মাতৃপ্রতিমার সামনে হাজির হয়ে প্রণাম করেন এবং ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে নিজেই সন্ধ্যা আরতি করেন। এরপর তিনি জানান, তিনি সকলের জন্য প্রার্থনা করেছেন, বিশেষ করে দেশের সকলকে খুশি রাখা এবং ভালো রাখার জন্য মায়ের কাছে তাঁর প্রার্থনা।
২০২৬ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সফর
কেবল বাংলা নয়, সারা দেশে পালিত হওয়া দুর্গাপূজা এবং নবরাত্রির এই উৎসবের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই শেষ দুর্গাপূজা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী এই সফরের মাধ্যমে একদিকে যেমন দুর্গাপূজায় শামিল হলেন, তেমনই দিল্লির বাঙালি পল্লিতে গিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির কাছেও পৌঁছে গেলেন, যা আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলার প্রতি বিশেষ বার্তা বহন করে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দুর্গাপূজা ও বাঙালি সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আশপাশের মানুষজন কার্যতই খুশি হন। প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ মণ্ডপে কাটান।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিল্লিতে নশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বৃষ্টি সত্ত্বেও দিল্লির দুর্গাপূজা তার জৌলুস এতটুকু হারায়নি।