ভোটের দামামা বাজার আগেই ঘর গোছাতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে দলের কর্মীদের নতুন বার্তা দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। মূলত দলের অন্তর্কলহ মেটানো এবং সংগঠনের গতি বাড়াতে এই রদবদল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে ভরতপুরে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নতুন দল গঠনের পর সেখানে সংগঠনকে নতুন করে শক্তিশালী করাই এখন ঘাসফুল শিবিরের পাখির চোখ।
বুধবার তৃণমূলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের মূল সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নজরুল ইসলামকে। ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন মুখ প্রিয়ব্রত ঘোষকে। যুব সংগঠনের হাল ধরছেন মহম্মদ রানা এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তুহিন ঘোষ। মহিলা সংগঠনে নাজমা সুলতানা এবং শ্রমিক সংগঠনে আবদুল বারিকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকেও বড় পরিবর্তন এনেছে দল। সেখানে মূল সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন মুসতাফিজুর রহমান ওরফে সুমন। যুব সংগঠনে কাজী নাজির হোসেন এবং মহিলা সংগঠনে সহিবালোহার মাজি দায়িত্ব পেয়েছেন। রানাঘাট এলাকাতেও রদবদলের ছোঁয়া লেগেছে। রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি হয়েছেন সুবীর ধর এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয়েছে রূপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে প্রতিটি ব্লকের সংগঠনকে মজবুত করে বিদ্রোহীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেই এই পদক্ষেপ। তৃণমূল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল, নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর নেতৃত্ব সরিয়ে এখন ময়দানে শুধু লড়াকু মুখদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।