তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পর বিজেপি শিবির থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিশেষ করে এই মামলায় যুক্ত বিজেপি নেতারা এই রায়কে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘আবেগতাড়িত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
বিজেপি শিবিরের প্রধান প্রতিক্রিয়াগুলি নিম্নরূপ:
১. বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন:
“সিঙ্গল বেঞ্চের রায়টি ছিল তথ্য ও নথির ভিত্তিতে, আর ডিভিশন বেঞ্চের রায়টি হয়েছে ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিবারের কথা ভেবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আমি মনে করি আইনে সবসময়ে নথি এবং তথ্যের ওপরই জোর দেওয়া উচিত। এই রায় অযোগ্যদের একটা বড় অস্ত্র তুলে দিল।”
তিনি নিশ্চিত করেন যে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ন্যায়বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।
২. মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ও বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া
এই মামলার অন্যতম মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতকে কার্যত প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন। তাঁর মন্তব্য:
“আদালতের এই নির্দেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই মান্যতা পেল। আদালত মানবিক দিক দেখে চাকরি বহাল রেখেছে, কিন্তু যারা বঞ্চিত হল, তাদের পরিবারের কোনও মূল্য নেই? মানবিকতা ও ন্যায়বিচার কখনও এক জিনিস হতে পারে না।”
তিনিও জানিয়েছেন যে রায়ের কপি হাতে আসার পরই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করা হবে।