ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আবারও কোটি টাকার সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। অভিনব কায়দায় চটির সোল-এর ভেতর লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল সাতটি সোনার বিস্কুট। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতায় ধরা পড়ল দুই পাচারকারী, উদ্ধার হল প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের সোনা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে গোপন সূত্রে খবর আসে যে দুই চোরাকারবারি করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি বাসে করে সোনা পাচারের চেষ্টা করছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিজয়মঠ বর্ডার আউট পোস্টের ১১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা খবরটি পেয়েই তৎপর হন। সকাল ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের মহিষবাথান এলাকায় ওঁত পেতে বসে থাকেন তাঁরা।
বাসটি ওই এলাকায় পৌঁছালে জওয়ানরা সেটিকে থামিয়ে সন্দেহভাজন দুই যাত্রীকে আটক করেন। প্রাথমিক তল্লাশিতে তাদের কাছে সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে জওয়ানরা কিছুটা অবাক হন। এরপর তাদের নজর পড়ে চোরাকারবারিদের পরা চপ্পলের দিকে। চপ্পল হাতে নিয়ে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে সাতটি সোনার বিস্কুট।
সোনাগুলির মোট ওজন প্রায় এক কিলোগ্রাম এবং এর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ধৃত দুই ব্যক্তি মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। তারা শুধু বাহক হিসেবে কাজ করছিল। জলঙ্গির এক ব্যক্তি তাদের হাতে এই সোনা তুলে দিয়েছিল, যা কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে অন্য একজনের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। তবে তাদের হস্তান্তর করার আগেই বিএসএফের জালে ধরা পড়ে যায়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।