বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস সংসারের সুখ-সমৃদ্ধি এবং আর্থিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে খাবার ও নুন সংক্রান্ত কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই নিয়মগুলি শুধু আমাদের জীবনযাপনকেই প্রভাবিত করে না, বরং মা অন্নপূর্ণা ও মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতেও সাহায্য করে। এই প্রতিবেদনে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রের এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম তুলে ধরা হলো।
১. খাবার গ্রহণের আগে ঈশ্বরের স্মরণ
খাবার গ্রহণ করার আগে সবসময় ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করা উচিত। মনে মনে ভগবানের নাম নিয়ে খাবার শুরু করলে তা আশীর্বাদের সমান বলে বিবেচিত হয়। এতে খাদ্য গ্রহণের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জন্মায় এবং জীবনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, খাওয়ার সময় এঁটো হাতে কাউকে খাবার দেওয়া একেবারেই অনুচিত।
২. ধারে নুন কেনা থেকে বিরত থাকুন
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, দোকান থেকে ধারে নুন কেনা একেবারেই উচিত নয়। এমনটা করলে সংসারে অভাব-অনটন দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হয়। পরিচিত দোকান হলেও, ধারে নুন না কিনে সবসময় নগদ টাকায় কেনা ভালো। এছাড়াও, এঁটো হাতে নুন পরিবেশন করা অত্যন্ত অশুভ বলে বিবেচিত হয়।
৩. মাটিতে বসে খাবার ও নুন সংক্রান্ত নিয়ম
অনেকেই মাটিতে বসে খাবার খেতে পছন্দ করেন। তবে মাটিতে সরাসরি না বসে একটি পরিষ্কার কাপড় পেতে তারপর খেতে বসা উচিত। যদি কখনও মাটিতে নুন পড়ে যায়, তবে তা কখনও পা দিয়ে মোছা উচিত নয়। হাত বা একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নুনটি তুলে ওই জায়গাটি পরিষ্কার করুন।
৪. থালায় হাত ধোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন
খাবার খাওয়ার পর থালায় হাত ধোয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এই অভ্যাসটি বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী অত্যন্ত অশুভ। এমনটা করলে সংসারে দারিদ্র আসতে পারে। খাদ্য যেন কোনোভাবেই অপচয় না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা দরকার। কারণ খাবারের অপচয় মা অন্নপূর্ণা এবং মা লক্ষ্মীকে অসন্তুষ্ট করে।
৫. পাঠকদের প্রতি বিশেষ বার্তা
এই প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে উল্লিখিত সব কথা যে আগামীতে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন কোনো দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধানের জন্য একজন পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।