দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শংসাপত্র অর্জন করেছে। এটি নিয়ে হাসপাতালটি তৃতীয়বারের মতো এই স্বীকৃতি পেল। এবারের জাতীয় গুণমান নিশ্চিন্তিকরণ সমীক্ষায় (National Quality Assurance Survey) ১৭টি বিভাগে ১১ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল এই বিরল সম্মান অর্জন করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহকুমা হাসপাতালগুলোর মধ্যে এটিই একমাত্র হাসপাতাল যা এই শংসাপত্র পেয়েছে।
পর্যবেক্ষণ ও সমীক্ষা:
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তিনজন পর্যবেক্ষক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাঁরা তিন দিন ধরে হাসপাতালের মোট ১৭টি বিভাগের পরিষেবা পর্যবেক্ষণ করেন। এই পর্যবেক্ষণের সময় তাঁরা শুধুমাত্র চিকিৎসাব্যবস্থা নয়, বরং রোগী, রোগীর পরিজন, চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সামগ্রিক পরিষেবার মান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। এই কঠোর সমীক্ষায় হাসপাতাল ভালো ফল করেছে।
প্রশংসিত বিভাগসমূহ:
১৭টি বিভাগের মধ্যে নবজাতকদের পরিচর্যা বিভাগ (Newborn Care Unit) সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। প্রসূতি বিভাগ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর আগেও এই দুটি বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ‘লক্ষ্য’ প্রকল্পের অধীনে প্রসূতি বিভাগ এবং ২০২৩ সালের জুন মাসে ‘মুসকান’ প্রকল্পের অধীনে শিশু ও নবজাতকদের বিভাগ শংসাপত্র পেয়েছিল।
হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া:
হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীরাজ রায় এই সম্মান প্রাপ্তির পর বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের কাজকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন এবং পরিষেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের পুরো দলের ওপর এখন আরও বড় দায়িত্ব এসে পড়ল।” বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তৃতীয়বার এই শংসাপত্র দিয়ে প্রমাণ করে দিল যে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।”
এই অর্জন রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।