মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজিনগর শহরে এক মর্মান্তিক ঘটনায়, দুই নাবালক ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হলেন এক অটোচালক।
নিহত ওই অটোচালকের নাম সৈয়দ ইমরান শফিক। বুধবার রেল স্টেশনের কাছে, গ্যাস ব্যবসার পুরনো রেষারেষি এবং দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে প্রায় ছয় জন লোক তাঁকে আক্রমণ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলার নৃশংস বিবরণ
শফিক তাঁর সন্তানদের নিয়ে বেরোনোর সময় এই ঘটনাটি ঘটে। সিল্ক মিল কলোনি এলাকায় একটি গাড়ি শফিকের অটোকে পথ আটকায়। গাড়ি থেকে পাঁচ থেকে ছয় জন লোক নেমে আসে। তারা শফিক এবং তাঁর সন্তানদের টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামায় এবং তারপর তাঁর ওপর বর্বর হামলা শুরু করে। আক্রমণকারীরা ছিল সশস্ত্র এবং এই নারকীয় হামলাটি চালানো হয় শফিকের ৩ বছর ও ১৩ বছর বয়সী দুই নাবালক ছেলের সামনেই, যাদেরকেও তারা হুমকি দেয়।
শফিক আত্মরক্ষার চেষ্টা করে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এরপর হামলাকারীরা তাঁর আঙুল কেটে দেয়, ডান হাতের কব্জি চিরে দেয় এবং মাথা ও ঘাড়ে একাধিকবার আঘাত করে। অবশেষে, তাঁকে বেশ কয়েকবার ছুরি মেরে একটি ফুট ওভারব্রিজের নিচে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তদন্ত ও গ্রেপ্তার
পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, গ্যাস ব্যবসা নিয়ে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার ৯ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন হলো ‘মুজিব ডন’, যার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য দুজন হলো মুজিবের ভাই সাদ্দাম হোসেন মইনুদ্দিন এবং তার শ্যালক শেখ ইরফান শেখ সুলেমান।