নিজের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা শোনালো আসানসোল এক্সক্লুসিভ পকসো আদালত। আদালত সূত্রে খবর, আসানসোল আদালতে এই ধরনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণার ঘটনা এটিই প্রথম। গত বছর ১২ মে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল আসানসোল হীরাপুর থানা এলাকায়।
ঘটনার দিন রাতে ভাই-বোনদের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল নির্যাতিতা। পরদিন সকালে তার মা দেখতে পান যে মেয়ের মুখ চাদর দিয়ে ঢাকা। চাদর সরাতেই তিনি দেখেন যে, মেয়েটির নাক ও কান থেকে রক্ত বের হচ্ছে এবং গলায় কালশিটের দাগ রয়েছে।
মেয়ের এমন অবস্থা দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলে, অভিযুক্ত বাবা স্ত্রীকে পুলিশ না ডাকার জন্য চাপ দেন এবং বলেন যে, হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফেঁসে যাবে। এই কথায় সন্দেহ বেড়ে যাওয়ায় মা প্রতিবেশীদের ডাকেন। এরপর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং খুনের আগে তাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। ঘটনার দু’দিন পর অর্থাৎ ১৪ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। এই ঘটনার প্রায় ১৫ মাসের মধ্যেই আদালত রায় ঘোষণা করে।
আসানসোল এক্সক্লুসিভ পকসো আদালতের বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর সোমনাথ চট্টরাজ জানান, পকসো আইনের ৬এ ধারা অনুযায়ী এই ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই রায় সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে যে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।