সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে মাত্র আড়াই বছরের এক খুদে শিল্পী — সূর্য সরকার। বাবার সঙ্গে তার যুগলবন্দী গানে এখন মেতেছে লক্ষাধিক মানুষ। খেলার ছলে মোবাইলে রেকর্ড করা একটি ভিডিও কীভাবে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারে, তার প্রমাণ দিয়েছে এই ছোট্ট প্রতিভা।
সূর্যর বাবা দেবজিৎ সরকার একজন পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মঞ্চে গান করছেন, টিভি শোতেও তার সাফল্য রয়েছে। কিন্তু বাবার রেওয়াজ চলাকালীন পাশে বসে খুদে সূর্যর গুনগুন করা একদিন আচমকাই দেবজিতের চোখে পড়ে। খেলার ছলে মোবাইল ক্যামেরায় বাবা-ছেলের সেই যুগলবন্দী রেকর্ড করা হয়। আর এটাই বদলে দেয় তাদের ভাগ্য।
“মেলার গান” থেকে “চিরদিনই তুমি যে আমার”-এর কামাল!
প্রথমদিকে সামান্য সাড়া মিললেও, কয়েকদিনের মধ্যেই “মেলার গান”-এর সেই যুগলবন্দী লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এবং রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ওঠে। এরপর মানুষের আবদারে একের পর এক গান গেয়ে ভিডিও প্রকাশ করতে শুরু করে সূর্য।
এই আড়াই বছরের শিল্পীর গান কেবল সাধারণ মানুষ নয়, পৌঁছে গেছে বড় বড় তারকাদের কাছেও।
জনপ্রিয় গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার তাঁর গান শেয়ার করে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
টলিউডের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও নিজের প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন সূর্যর গাওয়া জনপ্রিয় গান “চিরদিনই তুমি যে আমার”-এর ভিডিও।
তাতেই আরও উচ্ছ্বাস বেড়েছে নেটপাড়ায়। গানে দক্ষতার পাশাপাশি, বাবার গিটারের তালে তালে তার নাচও সমান জনপ্রিয়।
সূর্যর বাবা দেবজিৎ সরকার বলেন, “এত ছোট বয়সে ছেলে এতটা দূর এগোবে, তা ভাবিনি। বড় শিল্পী-অভিনেতারা যখন ওর ভিডিও শেয়ার করছেন, তখন আমি ভীষণ গর্বিত। তবে ওর ওপর কখনও চাপ দেব না। যেটা ভালো লাগবে, সেটাই করুক।”
মা দেবযানী সরকারও খুশি ছেলের প্রতিভা নিয়ে। তিনি জানান, তারা কখনও ছেলেকে মোবাইল দেন না, বরং গান শুনতে দেন। গান শুনেই সব মনে রাখে সূর্য। আড়াই বছরের এই শিশুই দেখিয়ে দিল, সঠিক পরিচর্যা পেলে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে প্রতিভা কীভাবে দ্রুত লাখো মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারে।