হিন্দু সংস্কৃতিতে ‘শুভ লাভ’ শব্দ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই বাড়ির মূল দরজায় স্বস্তিক চিহ্নের দুপাশে লেখা থাকে। এই লেখার পেছনে রয়েছে গভীর আধ্যাত্মিক এবং বাস্তুশাস্ত্রীয় তাৎপর্য। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, এই শব্দ দুটি বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, ভগবান গণেশের দুই স্ত্রী হলেন ঋদ্ধি ও সিদ্ধি। ঋদ্ধি শব্দের অর্থ হলো বুদ্ধি ও সমৃদ্ধি, এবং সিদ্ধি শব্দের অর্থ হলো সাফল্য ও অলৌকিক ক্ষমতা। এই দুই দেবীর দুই পুত্র হলো শুভ এবং লাভ। ‘শুভ’ শব্দটি ভগবান গণেশের পুত্রকে নির্দেশ করে, যিনি শুভতা ও কল্যাণের প্রতীক। অন্যদিকে, ‘লাভ’ শব্দটি ঋদ্ধি এবং সিদ্ধির আশীর্বাদে প্রাপ্ত ফলকে নির্দেশ করে, যা সম্পদ ও প্রাচুর্য নিয়ে আসে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির মূল দরজায় স্বস্তিক চিহ্নের সঙ্গে ‘শুভ লাভ’ লেখা থাকলে তা ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে। এর ফলে পরিবারে সুখ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। বিশ্বাস করা হয় যে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি যশস্বী হন এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ও বৈভবশালী হন। এই লেখা থাকলে বাড়ির সদস্যরা নিরাপত্তা লাভ করেন।
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সুখ ও সৌভাগ্য লাভের জন্য প্রতি বুধবার গণেশ পূজা করা যেতে পারে। এই পূজার সময় গণেশ ঠাকুরের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ঋদ্ধি-সিদ্ধি এবং পুত্র শুভ ও লাভের বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে গণেশ ও তাঁর পরিবারের আশীর্বাদ পাওয়া যায়, যা জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে।