দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে সরাসরি বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার নির্যাতিতা ছাত্রী এবং তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই মন্তব্য রাজ্য-রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
দুর্গাপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন রাজ্যপাল। এরপর সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “আমি নির্যাতিতা মেয়েটির এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের সুবিচার দিতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।”
রাজ্যপালের প্রশ্ন: বাংলা কি আর নিরাপদ?
এরপরই রাজ্যপাল রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার কথা টেনে এনে রাজ্যের নারী সুরক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে এধরনের ঘটনা প্রথমবার নয়। সাম্প্রতিক অতীতে ধর্ষণের মতো অপরাধের একাধিক ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে।”
একসময় যে বাংলাকে নবজাগরণের ভূমি বলা হতো, সেই বাংলায় এমন ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত— এমন মন্তব্য করে তিনি যোগ করেন, “এই ঘটনার পর আর আমি পশ্চিমবঙ্গকে কন্যাসন্তানদের জন্য নিরাপদ বলতে পারছি না।”
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই বিস্ফোরক বক্তব্য সরাসরি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশ-প্রশাসনের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। অন্যদিকে, একই দিনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও দুর্গাপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বোঝা বলে উল্লেখ করেন, যা রাজ্যের নারী সুরক্ষা ইস্যুতে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।