সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন আইজিপি বাহারুল আলম। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ ছিল, এমনকি প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস নিজেও বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে দেবী বিসর্জন দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। ঢাকা শহরের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের উৎসব শান্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে’। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারা দেশে ৩৩,৩৫৫টি মণ্ডপে পুজো হয়েছে, যার মধ্যে ঢাকা শহরে ছিল ২৫৮টি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই উৎসবের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কাজল দেবনাথ বলেন, ‘আমরা প্রশাসন এবং বিশেষ করে সামরিক বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই যারা উদযাপনের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে দশমীর দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়। ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে ভক্তরা পলাশীর মোড়ে সমবেত হন।
তবে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্যে ‘গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ’ জানিয়েছে। ইউনূস সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা সুখে-শান্তিতে আছে এবং তাদের উপর নিপীড়নের ঘটনাগুলি অতিরঞ্জিত ও অপপ্রচার। তিনি এই ‘অপপ্রচারে’ ভারতের যুক্ত থাকারও অভিযোগ করেন, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।