বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পালের গ্রেফতারির ঘটনায় এবার তার শাগরেদ সৌমিক দত্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সৌমিককে গ্রেফতারের পর পুলিশ মনে করছে, এর মাধ্যমে একটি বৃহত্তর জাল নথি তৈরির চক্রের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা সূত্রে জানা গেছে, শান্তা পালকে জেরা করেই সৌমিকের খোঁজ পাওয়া যায়। শান্তা কলকাতায় আসার পর সৌমিকই তার থাকার ব্যবস্থা করে এবং জাল ভারতীয় নথি তৈরিতে সাহায্য করে। শান্তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বর্ধমানের ঠিকানার আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি সৌমিকই তৈরি করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
এই ঘটনার ফলে পুলিশ এখন এই চক্রের গভীরতা বোঝার চেষ্টা করছে। সৌমিক কি একাই এই কাজ করত, নাকি এর পেছনে একটি বড় গ্যাং আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশি নাগরিকদের ভারতে অবৈধভাবে বসবাস এবং জাল নথি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই চক্রের ভূমিকা কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শান্তা পাল ২০২৩ সাল থেকে ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। তার ভিসা অনেক আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর পুলিশি তদন্তে তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হয়। পুলিশ তার ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ধরনের নথি উদ্ধার করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এবং তার নিজের দেশের মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডও ছিল। শান্তা জানিয়েছেন, তিনি কলকাতায় একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ এখন তার উদ্দেশ্য নিয়ে আরও গভীরভাবে তদন্ত করছে।