বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে মদ বিক্রি এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে সোমবার ফের চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলেজ চত্বর। কলেজের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী।
‘হস্টেল থেকে অবৈধ মদ বিক্রি’র অভিযোগ:
বিতর্কের সূত্রপাত ‘স্পন্দন’ নামের একটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে। হাউসস্টাফ শুভ্রনীল ঘোষ-এর অভিযোগ, “স্পন্দন অনুষ্ঠানে বয়েজ হস্টেল ৭ নং থেকে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হয়েছিল। সেই নিয়ে আমরা প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জমা দিই। সেই বিষয়ে কলেজে বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকের ফলাফল জানতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে আছি। আমাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, তারই প্রতিবাদে আমরা ধর্নায় বসেছি।” পড়ুয়াদের একাংশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টিচার কাউন্সিলের মিটিংয়ে আলোচনার দাবি তোলে।
পাল্টা অভিযোগ ‘বহিরাগত’ নিয়ে:
অন্যদিকে, কলেজের অন্য ছাত্র গোষ্ঠী ভিন্ন অভিযোগ তুলেছে। ‘অভয়া আন্দোলনের’ সঙ্গে যুক্ত ছাত্র প্রহ্লাদ অধিকারী-র দাবি, বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশের প্রতিবাদে তাঁরা সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, “কলেজে সুস্থ ও শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। অসাধু লোকজনদের বের করে দিতে হবে। যারা এখানে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা চাইছি কলেজে যেন কোনও জঞ্জাল না থাকে। এদের কলেজে ঢুকতে দেব না।”
সব মিলিয়ে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা এখন কার্যত দুভাগে বিভক্ত। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর এই কলেজে বহিরাগতদের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছিল এবং তা নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনও হয়। পরিস্থিতি কয়েক মাস শান্ত থাকার পর, সোমবার ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে ক্যাম্পাসে অশান্তি সৃষ্টি হলো। জেলা পুলিশ দ্রুত বিশাল বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।