সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। দেশজুড়ে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার নিমেসুলাইড (Nimesulide) যুক্ত সমস্ত ওরাল পেইনকিলার বা ব্যথানাশক এবং জ্বরের ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়, যা অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৪০ সালের ওষুধ ও প্রসাধনী আইনের (Drugs and Cosmetics Act) ২৬এ ধারা প্রয়োগ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ পরীক্ষার পর ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড (DTAB) জানিয়েছে, নিমেসুলাইডের অতিরিক্ত বা উচ্চ মাত্রার ব্যবহার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে এটি লিভার বা যকৃতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে বাজারে এই ওষুধের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প ব্যথানাশক উপলব্ধ থাকায় এই কঠোর পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার নিমেসুলাইডের সব ধরনের ‘ইমিডিয়েট রিলিজ’ ওরাল ফর্মুলেশন বা মুখে খাওয়ার ওষুধের বিপণন ও বিতরণ বন্ধ করতে হবে। ওষুধ কোম্পানিগুলি আর এই নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে না। চিকিৎসকদের মতে, যত্রতত্র ব্যথানাশক ওষুধের অপব্যবহার রোধে এই সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাপদ বিকল্প গ্রহণ করেন।