কনকনে ঠান্ডায় বড়দিনের সকালে ঘুম ভাঙল শহরবাসীর। উৎসবের মরশুমে শীতের এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কার্যত কুপোকাত বাংলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ তিলোত্তমায় রেকর্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। উত্তুরে হাওয়ার অবাধ প্রবেশের ফলে বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছে।

আগামীকাল আরও নামবে পারদ

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শীতের এই দাপট এখনই থামছে না। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। হাওয়া মোরগ বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাফেরা করবে। ফলে উইকেন্ডের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবে মানুষ।

উত্তরবঙ্গে ‘কোল্ড ডে’ পরিস্থিতি

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও শীতের কামড় মারাত্মক। বিশেষ করে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশার দাপট এবং কনকনে শীতল হাওয়ায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ‘কোল্ড ডে’ (Cold Day) পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পাহাড়েও পারদ পতন অব্যাহত, যার ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

বর্ষশেষে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

অনেকেরই প্রশ্ন, ২০২৫-এর বিদায়বেলা কি আরও শীতল হবে? আবহাওয়াবিদদের মতে:

• আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রার বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

• শীতের এই স্পেল আরও কয়েকদিন বজায় থাকবে।

• বর্ষশেষে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থাকার প্রবল সম্ভাবনা।

• পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আপাতত কোনো বাধা না থাকায় শীতল হাওয়া প্রবেশের পথ পরিষ্কার।

সতর্কবার্তা: সকালে এবং রাতে কুয়াশার দাপট বাড়তে পারে, তাই রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় বা ভোরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

আমি কি আপনার জন্য আগামী কয়েকদিনের জেলাভিত্তিক তাপমাত্রার একটি চার্ট তৈরি করে দেব?