প্রিয় ‘ওল্ড মঙ্ক’-এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত? হিমাচল প্রদেশের কারখানায় তালা পড়ার শঙ্কা!

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় রাম ব্র্যান্ড ‘ওল্ড মঙ্ক’ প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। তাদের পছন্দের এই পানীয়ের উৎপাদন ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। না, ওল্ড মঙ্ক প্রস্তুতকারী সংস্থা উৎপাদন বন্ধ করছে না, তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে তাদের মূল উৎপাদন কেন্দ্রকে ঘিরে। জানা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশের সোলানে অবস্থিত মোহন মেকিন ব্রিউয়ারির কারখানাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের সম্পত্তি কর বকেয়া রাখার অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য অনুযায়ী, মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ বিগত ২০ বছরের সম্পত্তি কর পরিশোধ করেনি। বকেয়া করের পরিমাণ এখন ৫৭.৫০ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। সোলান পুরসভার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, যদি দ্রুত এই বকেয়া কর পরিশোধ করা না হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি, কারখানাটি সিল করে দেওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে।

পুরসভা আরও জানিয়েছে যে, কর পরিশোধের জন্য এর আগেও একাধিকবার নোটিস পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো জবাব মেলেনি। বর্তমানে নতুন কর নির্ধারণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে, যা ২০২২ সালের পর থেকে করের পরিমাণ আরও বাড়াবে।

যদিও সোলানের কারখানায় এই নোটিস পাঠানো হয়েছে, ওল্ড মঙ্কের সবচেয়ে বড় ডিস্টিলারি বা উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। সেখানেই এই রাম প্রায় ৭ বছর ধরে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপর পঞ্জাবে এটি বোতলবন্দি করা হয়। হিমাচল প্রদেশের কসৌল সহ অন্যান্য স্থানেও মোহন মেকিন ব্রিউয়ারির উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ওল্ড মঙ্ক রাম ছাড়াও বিয়ার এবং হুইস্কি তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত, মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি ভারতের প্রথম অ্যালকোহল ডিস্টিলারি হিসেবে পরিচিত। ১৮৫৫ সালে এডওয়ার্ড ডায়ার নামক এক ব্রিটিশ নাগরিক এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৬৯ সালে নরেন্দ্রনাথ মোহন নামক এক ভারতীয় এই ব্রিউয়ারিটি কিনে নেন এবং তখন থেকেই এর নাম হয় মোহন মেকিন ব্রিউয়ারি লিমিটেড। এখন এই ঐতিহাসিক ব্র্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কর বকেয়ার জেরে সংকটে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy