লোকসভা নির্বাচনের পর এবার ফের পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২৩শে আগস্ট, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে একটি জনসভা করতে পারেন তিনি। প্রাথমিকভাবে এই সভার তারিখ ২০শে আগস্ট নির্ধারিত হলেও, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন না এলেও, রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই সভাকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
পাঁচ মাসে পাঁচটি সভার পরিকল্পনা:
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্য বিজেপি একটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের বাকি পাঁচ মাসে প্রতি মাসে একটি করে, অর্থাৎ মোট পাঁচটি বড় জনসভা করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও এই সব সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এই প্রস্তাব থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপি এখন থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে সমান নজর:
রাজ্য বিজেপির এই পরিকল্পনায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একাধিক জনসভার মাধ্যমে রাজ্যের দুই প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সভাগুলো রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মোদীর পূর্ববর্তী সফর:
চলতি বছরে এর আগেও প্রধানমন্ত্রী মোদী দু’বার পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। মে মাসে তিনি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দুটি জনসভা করেন। সেই সভাগুলিতে তিনি সরাসরি তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নারী নির্যাতন বৃদ্ধি এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বারবার সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা:
দমদমের এই সম্ভাব্য জনসভাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রটি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে গেলেও, এই অঞ্চলে বিজেপির ভালো সংখ্যক সমর্থক রয়েছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক তাপমাত্রাকে আরও বাড়াবে।
এখন সবার নজর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দিকে। সবুজ সংকেত পেলেই ২৩শে আগস্ট দমদমে নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হতে পারে, যা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন মোড় দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।