স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা মেয়ে জানতে পেরে বাবাকে জানিয়ে দেওয়ায়, স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামের। পুলিশ এই ঘটনায় ওই মহিলা, তাঁর প্রেমিক এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি বিক্রম (৩৭), যিনি তাঁর স্ত্রী সোনি দেবী এবং মেয়েকে নিয়ে গুরুগ্রামের উদ্যোগ বিহারে থাকতেন। গত ২৮ জুলাই সোনি দেবী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং জানান যে তাঁর স্বামী দু’দিন ধরে নিখোঁজ। এর তিন দিন পর তিনি প্রতিবেশী রবীন্দ্রর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে বলেন, রবীন্দ্র তার কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল করতেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করলে আসল ঘটনা সামনে আসে। রবীন্দ্র জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে গত এক বছর ধরে সোনি দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও একদিন সোনি দেবীর মেয়ে দেখে ফেলে এবং তার বাবাকে সব বলে দেয়।
ঘটনা জানার পর বিক্রম যাতে কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার আগেই সোনি দেবী এবং রবীন্দ্র তাঁকে খুনের ছক কষেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইউটিউব ও ইন্টারনেটে খুন করে দেহ লোপাটের বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজে বের করে। গত ২৬ জুলাই কাজ থেকে ফেরার পথে রবীন্দ্র ও তার সঙ্গীরা বিক্রমকে গাড়িতে তুলে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর মহম্মদপুর ঝারসা গ্রামের কাছে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় রবীন্দ্রর কাকা সানতরপল-ও জড়িত ছিলেন। তিনিই বিক্রমের দেহ পুঁতে ফেলার জন্য গর্ত খুঁড়ে রেখেছিলেন। সোনি দেবী তার স্বামীকে খুনের সময় ফোনে রবীন্দ্রর সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছিলেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাচ্ছে।