প্রতারণার অভিযোগে চিৎপুর থানায় অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন যে, আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এর ভিত্তিতে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।
বিচারপতি এই মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছেন এবং পুলিশকে আগামী ৩রা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে, কিন্তু মিঠুনের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে না। একইসঙ্গে, মামলার সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল?
জানা গেছে, কার্শিয়াংয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর একটি হোটেল রয়েছে। অভিযোগকারী এক মহিলা দাবি করেছেন যে, ২০১৯ সালে ওই হোটেলের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের কাজ করার পর মিঠুন চক্রবর্তী তাঁকে টাকা দেননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি চিৎপুর থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগকারী মহিলা শিয়ালদা আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য:
মিঠুন চক্রবর্তী এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ছয় বছর পর এই অভিযোগ দায়ের করা হলো। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিয়মিত তোপ দাগছেন। মিঠুনের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলেই তাঁর সম্মানহানি করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
২০১৪ সালে তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর ২০১৬ সালে তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর তিনি প্রায় অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি রাজনৈতিকভাবে ফের সক্রিয় হয়েছেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশ আপাতত মিঠুনকে স্বস্তি দিলেও, রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।