শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে শিবভক্তদের সেবা করতে দেখা গেল বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। রবিবার রাত থেকেই বিভিন্ন শিবমন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে, যারা মাইলের পর মাইল হেঁটে মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। সেইসব পুণ্যার্থীদের ক্লান্তি ও ব্যথা কমাতে তাদের পায়ে স্প্রে করে দিলেন অনুব্রত। পাশাপাশি, তিনি ভক্তদের হাতে ঠান্ডা পানীয়, জল এবং খাবারও তুলে দেন। এই দৃশ্য সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এটিকে ‘জীবসেবার মধ্যে দিয়ে শিবসেবা’ হিসেবে দেখছেন।
অনুব্রত মণ্ডল তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং কালীপুজোর জন্য পরিচিত। নিয়মিত পুজো-আর্চা ছাড়া তিনি জলস্পর্শও করেন না। এবার তাকে দেখা গেল শিবভক্তদের সেবা করতে। রবিবার রাতে বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয় এবং সেখানে শিবের মূর্তি স্থাপন করা হয়। রাস্তার পাশেই চেয়ার পেতে বসেছিলেন অনুব্রত।
শ্রাবণে শিবভক্তরা বিভিন্ন নদী, যেমন কাটোয়া বা কঙ্কালীতলা থেকে জল নিয়ে বোলপুরের শিবতলা শিব মন্দিরে যান। এই দীর্ঘ যাত্রায় ভক্তদের পায়ে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অনুব্রত মণ্ডল সেইসব পুণ্যার্থীদের পায়ে ভলিনি (Volini) স্প্রে করে দেন, যা পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, তিনি তাদের হাতে জলের বোতল, ফলের রস, লুচি, তরকারি এবং বোঁদে তুলে দেন। এই কাজে তার সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতা চন্দ্রনাথ সিনহা এবং কাজল শেখকেও দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের জনসংযোগের মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডল একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে চাইছেন, তেমনই ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছেন। এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের রাজনৈতিক অবস্থান এবং জনসেবার নতুন দিক নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।