ভয়াবহ বর্ষণ ও ধসের দুর্যোগ কাটিয়ে ধীরে ধীরে চেনা ছন্দে ফিরছে দার্জিলিং। পর্যটকদের ভিড়ে ফের জমজমাট হয়ে উঠছে ম্যালে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হওয়ায় পাহাড়ে ফিরছে হারানো উৎসবের মেজাজ। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেই পর্যটকদের পাহাড়ে আসার জন্য আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস: ‘ভয় পাবেন না, চলে আসুন’
মহাকাল মন্দিরে পুজো শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্যোগের সময় প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে প্রায় ১৫০০ পর্যটককে প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিরাপদে বের করে এনেছিল।
পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“এখনও অনেকেই আসছেন। এখন দুটো রাস্তাই খোলা আছে। একটা তিনধারিয়া আর পাঙ্খাবাড়ি। আমি অনুরোধ করব পর্যটকরা যেন কোনও রকম ভয় না পেয়ে আবার পাহাড়ে আসে।”
তাঁর এই আশ্বাসের ফলে আসন্ন দীপাবলির ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি নামার দুটি রাস্তা খোলা, অস্থায়ী সেতু দ্রুত তৈরি
গত কয়েকদিনে ধস ও বৃষ্টির কারণে দার্জিলিঙের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তা সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ হয়েছে।
খোলা রাস্তা: বর্তমানে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নামার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা— হিলকার্ট রোড (তিনধারিয়া হয়ে সুকনার দিকে) এবং পাঙ্খাবাড়ি রোড— যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
দুধিয়া সেতুর বিকল্প: মিরিকের দিকে যাওয়ার দুধিয়া সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সেখানে একটি অস্থায়ী বেলি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা চলছে। রাজ্যের পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই কাজ আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ (GTA)-এর প্রধান অনীত থাপাকেও নির্দেশ দিয়েছেন, রাস্তার সমস্ত কাজ যাতে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে।
এছাড়া, সিকিম থেকে কালিম্পং-লাভা-লোলেগাঁও হয়ে শিলিগুড়ি নামার বিকল্প রাস্তাটিও খোলা রয়েছে। জিটিএ জানিয়েছে, মিরিক ব্লক ও বিজনবাড়ি ব্লকের একাধিক রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। সোনাদা থেকে মুনদা যাওয়ার রাস্তা ও মিলিং রোডও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে গরুবাথান, লাভা ও কালিম্পংয়ের ছোট রাস্তাগুলিতে কাজ এখনও চলছে।